IQNA

রোহিঙ্গাদের করোনা টিকাদান শুরু

21:15 - August 11, 2021
সংবাদ: 3470485
তেহরান (ইকনা): কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থাপিত অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে ৫৫ বছর ও তদুর্ধ্ব রোহিঙ্গাদের টিকা দিচ্ছেন টিকাকর্মীরা।

কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয় জানিয়েছে, প্রতিটি কেন্দ্রে ৩ শতাধিক রোহিঙ্গাকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সংশিষ্ট ক্যাম্প প্রশাসন। পাশাপাশি একই সময়ে ক্যাম্পের হেড মাঝি, ব্লক মাঝি, মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিনসহ ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজে নিয়োজিত ১৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবকদেরও টিকার আওতায় আনা হচ্ছে।

মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রোহিঙ্গাদের করোনার ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত।

ইউএনএইচসিআর সূত্রে জানা গেছে, একজন ব্যক্তিকে দুই ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। যেখানে দুটি ডোজের মধ্যে ৪ সপ্তাহের ব্যবধান থাকবে।

কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার সামশু দৌজা নয়ন জানান, রোববার সকাল ১১টা থেকে ৩৫টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৫৬টি কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। প্রথম দফায় ১৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবকসহ ৬৬ হাজার রোহিঙ্গাকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।

কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার অফিসের প্রধান স্বাস্থ্য সমন্বয়ক ডা. আবু ত্বোহা বলেন, ভ্যাকসিন কার্যক্রমে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১৮৬টি টিম কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে ৫৬টি কেন্দ্রের মাধ্যমে রোববার সকাল ৯টা থেকে রোহিঙ্গাদের করোনা টিকা প্রদান শুরু হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ৫৫ বছরের বেশি বয়স্ক রোহিঙ্গাদের শুরুতে টিকার আওতায় আনা হচ্ছে।

টিকা প্রদানের সময় কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান, বিভিন্ন ক্যাম্পের ইনচার্জ ও সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২৮ জন আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। গত ৯ আগস্ট পর্যন্ত করোনার নমুনা পরীক্ষা করেছেন ৫৪ হাজার ৭৯৬ জন। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৫৭৭ জন। আইসোলেশনে রয়েছে ২৩২ জন রোহিঙ্গা।  iqna

captcha