ইংল্যান্ডে ২১ জুন থেকে বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়ার কথা ছিল, তবে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় এই ঘোষণা কমপক্ষে চার সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়।
বিক্ষোভকারীরা হাইডপার্ক থেকে অক্সফোর্ড স্ট্রিট হয়ে পার্লামেন্ট ভবনের দিকে মিছিল করে, তারা পতাকা বহন করে, শিস দিয়ে চিৎকার করে অবিলম্বে বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের ডেভন থেকে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আইইন ম্যাককাসল্যান্ড বলেন, ‘এই বিক্ষোভে আমার অংশ নেওয়ার প্রধান কারণ, লকডাউনে আমার স্বাধীনতা ও অধিকার হরণ করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সমবেত হওয়া, ভ্রমণ এবং কাজ করার স্বাধীনতা আছে, বিধি-নিষেধ এসব অধিকার হরণ করছে, আমি সত্যিই সরকারের ওপর বেশ ক্ষুব্ধ; এ জন্য সবাই এখানে এসেছে।’
একটি প্ল্যাকার্ডে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ‘হ্যানকককে গ্রেপ্তারের’ দাবি জানানো হয়েছে। শুক্রবার সরকারি অফিসের ভেতরে একজন সহযোগীকে চুম্বন করার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের পর তিনি শিরোনাম হয়ে ওঠেন। এতে তার পদত্যাগের দাবি তোলা হয়।
পরে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করেছেন যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব ম্যাট হ্যানকক। গতকাল শনিবারই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে পদত্যাগপত্র দেন তিনি। এক বিবৃতিতে হ্যানকক বলেন, ‘আমি স্বীকার করছি যে বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি সামাজিক বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছি। দেশের জনগণ ও সরকারকে বিব্রত করার জন্য আমি খুবই দুঃখিত। সূত্র : বাসস।