মক্কায় খাদ্য সাহায্যের প্রকল্পের মহাপরিচালক এ ব্যাপারে বলেছেন: মক্কায় যে পরিমাণ খাদ্য অপচয় হয় তা দিয়ে আফ্রিকা, এশিয়া এবং ল্যাটিন আমেরিকার অনেক ক্ষুধার্ত শিক্ষার্থীর ক্ষুধা মেটানো সম্ভব।
খাদ্য সাহায্যের প্রকল্পের মহাপরিচালক আহমেদ আল মাতরাফি বলন: এ শহরে একটি সাধারণ বিয়ের অনুষ্ঠানে, যে পরিমাণের খাদ্য নষ্ট হয় তা দিয়ে ২৫০ জন ক্ষুধার্ত ব্যক্তি পেট ভরে খেতে পারবে।
তিনি বলেন: ছুটির দিনগুলোতে বিয়েসহ অন্যান্য ভোজন অনুষ্ঠানে অবশিষ্ট খাবার দিয়ে ২৪ হাজার মানুষের ক্ষুধা মেটানো হয়েছে। এ খাদ্য শুধুমাত্র মক্কার হোটেল ও মিলনায়তন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও অনেক খাদ্য অপচয় হয়, যার খবর আমাদের নিকট নেই।
অথচ পবিত্র কুরআন ও ইসলামিক গ্রন্থে অপচয়ের ত্যাগের ব্যাপারে ও দরিদ্রদের সাহায্য ও খাদ্য দেওয়ার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বিশেষ করে সুরা তাহা’র ১২৭ নম্বর আয়াত:
وَكَذَلِكَ نَجْزِي مَنْ أَسْرَفَ وَلَمْ يُؤْمِن بِآيَاتِ رَبِّهِ وَلَعَذَابُ الْآخِرَةِ أَشَدُّ وَأَبْقَى
- এবং যে সীমালঙ্ঘন (অপচয়) করে এবং নিজ প্রতিপালকের নিদর্শনাবলিতে বিশ্বাস স্থাপন করে না, আমরা তাকে এমনই প্রতিদান দেই। আর পরকালের শাস্তি তো অবশ্যই অতি কঠোর ও চিরস্থায়ী হবে।
এবং সুরা আ’রাফের ৩১ নম্বর আয়াত:
يَابَنىِ ءَادَمَ خُذُواْ زِينَتَكمُْ عِندَ كلُِّ مَسْجِدٍ وَ كُلُواْ وَ اشرَْبُواْ وَ لَا تُسرِْفُواْ إِنَّهُ لَا يحُِبُّ الْمُسرِْفِين
- হে আদম সন্তানরা! তোমরা প্রত্যেক নামাযের সময় তোমাদের সৌন্দর্য গ্রহণ কর এবং খাও ও পান কর। (কিন্তু) অপচয় কর না; কেননা, তিনি অপচয়কারীদের ভালবাসেন না।
সূরা গাফেরের ২৮ নম্বর আয়াত:
اللَّهَ لَا يَهْدِي مَنْ هُوَ مُسْرِفٌ كَذَّابٌ:
অপব্যয়ী ও অতি মিথ্যাবাদীকে মহান আল্লাহ হেদায়েত করবেন না।
iqna