IQNA

হিজাব পরিধান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম নারীদের অভিজ্ঞতা

23:20 - July 01, 2019
সংবাদ: 2608814
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আমেরিকান প্রযুক্তি উদ্যোক্তা দিলারা সাইদ তার প্রতিদিনকার কর্মক্ষেত্রে হিজাব পরিধান করতে অভ্যস্ত। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিয়নস রাজ্যের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ এর সাবেক পদ প্রার্থী দিলারা একজন আমেরিকান হওয়া স্বত্বেও একজন মুসলিম হিসেবে হিজাব পরিধান করেন।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ১৯ বছর বয়সে যখন তিনি হিজাব পরিধান করা শুরু করেন তখন তার পিতা তাকে বলেছিলেন, ‘তুমি এখন আমেরিকা তে আছ, এখানে তোমার হিজাব পরিধান করার প্রয়োজন নেই।’

এর প্রতিউত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এখন আমেরিকায় এবং এ কারণেই আমি হিজাব পরিধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বার্তা সংস্থা ট্রিবিউন দেশটির শিকাগো রাজ্যে বসবাসরত ছয় জন মুসলিম নারীর একটি সাক্ষাতকার নিয়েছেন যাদের সকলেই হিজাব পরিধান করেন। তাদের নিকট হিজাব পরিধান করার অর্থ কি, এর ফলে তারা কিরূপ প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হন ইত্যাদি বিষয়ে তারা কথা বলেছেন।

সাক্ষাতকারে অংশ নেয়া এসব নারীদের পরিবার সিরিয়া, ভারত, আফ্রিকা এবং ফিলিস্তিন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন।

সাইয়্যেদা সুলেইমান
মোরাইনে ভ্যালী কমিউনিটি কলেজের সপ্তম গ্রেডে উঠা ১৮ বছর বয়সী সাইয়্যেদা সুলাইমান হিজাব পরিধান করার জন্য পুরোপুরি তৈরী।

তিনি বলেন, ‘আমার মা হিজাব পরিধান করেন এবং তিনি আমার জন্য একজন রোল মড়েল। আমার পরিবারের কিছু সদস্য হিজাব পরিধান করে না এবং এটি তাদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমি অবশ্যই হিজাব পরিধান করব কারণ এর ফলে আমি সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য অনুভব করি এবং নিজেকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে অনুভব করি।’

হিজাব পরিধান সম্পর্কে যখন তার বন্ধুরা এর ফলে তার নিজেকে ভিন্ন কেউ মনে হয় নাকি এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, হিজাব আমাকে আরো বেশী আত্মবিশ্বাসী করে তোলা কারণ আমি আমার বিশ্বাস অনুযায়ী কাজ করছি।

হিজাব পরিধান করার পরবর্তী দুমাস তিনি অনেক কঠিন সময় পার করেছিলেন এবং তার একজন সহপাঠী তাকে মুসলিম বিরোধী ‘towelhead’ বলে গালি দিয়েছিল এমনকি তার একজন সহপাঠী তাকে সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করেছিল।

সুলেইমান এ বিষয়ে তার শিক্ষকদের সাথে আলাপ করার পরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি মিমাংশা করে দেন।

সুলেইমানের শিক্ষা ক্ষেত্র মিশর, সুদান এবং ফিলিস্তিন থেকে আগত অনেক মুসলিম পরিবারের সন্তানেরা অধ্যয়ন করে। সুলেইমানের পিতা মাতা ফিলিস্তিন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হয়ে এসেছিলেন।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার হিজাব কে কি ভাবে দেখে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা যাতে সঠিক অনুভব করি তারা এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে ভালোবাসে। হিজাবের পরিধান করে আমরা আরাম বোধ করি এবং আমরা আমাদের মতামত তুলে ধরতে পারি।’

দিলারা সাইদ
দিলার সাইদ বলেন, ‘আমি কি আপনার সাথে সততা বজায় রাখতে পারি? আমি মনে করি আমার মাথায় হিজাব রয়েছে নাকি নেই এ বিষয়টি দেখার চাইতেও সৃষ্টিকর্তার আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে।’

তথাপি তিনি প্রতিদিন সকালে তার ঘর থেকে বের হওয়ার সময় হিজাব পরিধান করেন। তিনি ১৯৮০র দশক থেকেই হিজাব পরিধান করে আসছেন যখন যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমদের মধ্যে হিজাব পরিধান করার বিষয়টি দুর্লভ ছিল।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত দিলারা সাইদ অনলাইন ‘vPeer’ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হিজাব কে তিনি নিজের পরিচয় হিসেবে ভাবতে পছন্দ করেন।

তিনি বলেন, ‘এ ভাবেই আমি নিজেকে একজন আমেরিকান মুসলিম নারী হিসেবে দেখতে চাই। এটি আমার নিকট অনেক বড় কিছু। এর মানে হচ্ছে আমি এমন একজন নারী যে ক্ষমতাবান, এমন একজন নারী যে ন্যায়পর এবং এমন একজন নারী যিনি সেবা দান করেন।’

তার মতে, পশ্চিমারা মনে করে তাদের নারীরা স্বাধীন কারণ তারা সমুদ্র তটে বিকিনি পরিধান করতে পারে। স্বাধীনতার অর্থ শুধুমাত্র পোশাক পরিধান করার উপর নির্ভর করে না এটি নির্ভর করে মুক্ত পছন্দর উপর। আর দুর্ভাগ্যবশত এখানে নারীরা মুক্ত ভাবে হিজাব পরিধান করতে পারেন না।

আমাদের এ বিষয়ে উদার থাকতে হবে। আমি হিজাব পরিধান করে নিজের ক্ষমতায়ন অনুভব করি। তবে প্রতিদিন আমি হিজাব পরিধান করে প্রস্তুতি নিয়ে রাখি যে, যখন কেউ একজনের সাথে আমার দেখা হবে সে আমার নিজের সম্পর্কে ঠিক কি ভাববে? সে ব্যক্তি সম্ভবত আমি নীরব, সঙ্কুচিত, বৈষম্যের শিকার এবং ক্ষমতাবান নই এমন ভাববেন।

এ বিষয় সমূহ তাকে অনেক সময় আঘাত করে কিন্তু এর ফলে তিনি লোকজনের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে দেয়ার জন্যও দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করেন।

দেওয়ান নাজমা বেয়াসলে
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা রাজ্যে একজন খ্রিষ্টান হিসেবে বেড়ে উঠা দেওয়ান নাজমা চার বছর পূর্বে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। ৩৯ বছর বয়সী দেওয়ান বলেন, ‘এটি ছিল প্রাকৃতিক ধর্মান্তর। সৃষ্টিকর্তা আমাকে সঠিক পথের দিকে ধাবিত করে কারণ আমি তা খুঁজছিলাম। আমি ধর্ম সম্পর্ক অধ্যয়ন করেছিলাম এবং একটি সঠিক পথের প্রতীক্ষায় ছিলাম।’

ইসলাম ধর্মের সাথে ইহুদি এবং খ্রিষ্টান ধর্মের সাথে মিল থাকার কারণে তিনি এ সম্পর্কে মোটামুটি অবগত ছিলেন এবং তিনি ইসলামে বর্ণিত বিষয় সমূহের বিশদ বিবরণ ও প্রতিদিনকার জীবনে এর প্রতিফলন করার মত বাস্তবিকতায় উদ্ভূদ্ধ হয়েছিলেন।

হিজাব পরিধান করা, প্রতিদিন পাঁচ বার সালাত আদায় করা, রমজান মাসে সিয়াম পালন করা ইত্যাদি তার নিকট বাস্তবসম্মত এবং যৌক্তিক মনে হয়েছিল।

ইসলামে হিজাব শব্দটি ক্ষুদ্র অর্থে আগন্তুক থেকে আপনার জন্য সু-রক্ষাকবচ এবং বৃহৎ অর্থে তা আপনার চরিত্রের শালীনতা, আপনার আচরণ এবং পোশাকের সাথে সংযুক্ত যা সকল পুরুষ এবং নারী উভয়ের জন্যই পালনীয়। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পরে তিনি অতি সত্বর হিজাব পরিধান করা শুরু করেন এবং ইসলামের অনুশাসন সমূহ মেনে চলতে প্রচেষ্টা চালান।

তিনি বলেন, ‘শালীনতার অর্থ একেক জনের নিকট একেক রকম। আমি একজন কৃষ্ণাঙ্গ নারী সুতরাং আমার জন্য মাথা ঢেকে রাখা হয়ত অন্য নারীদের চাইতে কিছুটা ভিন্ন হবে। আপনার ভিন্ন সংস্কৃতি থাকতে পারে, ভিন্ন ধরনের শারীরিক গঠন থাকতে পারে এবং শালীনতা সম্পর্কে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে।’

আসমা আখরাস
১৯৯০ এর দশকে যখন আসমা আখরাস কলেজে অধ্যয়ন করা শুরু করেছিলেন তখন থেকেই তিনি হিজাব পরিধান করে আসছেন এবং এর ফলে তিনি নিজেকে সম্মানিত এবং অন্যদের সাথে সংযুক্ত অনুভব করেছেন।

৪৪ বছর বয়সী আসমা বলেন, ‘আমি কখনো হিজাব পরিধান করার কারণে বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হই নি। আমি সবসময় খুবই আত্মবিশ্বাসের সাথে এবং কোনো দুখ: বোধ ব্যতিরেকে হিজাব পরিধান করে আসছি।’

আসমা আখরাসের পিতা মাতা সিরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন এবং দেখতে শ্বেতাঙ্গ হওয়ার কারণে তিনি তার হিজাব পরিধান নিয়ে কোনো বাজে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন নি বলেও তিনি স্বীকার করেন।

তবে কিছু মুসলিম দেশের উপর ট্রাম্প ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর আখরাস ব্যক্তিগত ভাবে মনে করেন হিজাব পরিধান কারী নারীরা এখানে বর্তমানে অনেক চাপের মধ্যে থাকেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আমার কর্মক্ষেত্রে এখন এধরনের দৃষ্টিভঙ্গি অনুভব করছি। অনেকে এমন ভাব দেখায় যে এবং বলতে চায়- এখানে তোমার থাকার কথা নয়।’

আসমা আখরাসের সাথে কিছুদিন পূর্বে তার হিজাব নিয়ে একটি বাজে ঘটনা ঘটে যায়। তিনি একটি দোকানে তার কন্যা সহ কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র কিনে তার নিজের গাড়িতে উঠতে যাবেন এমন সময় একজন খ্রিষ্টান মহিলা তার দিকে তেড়ে আসে এবং তার হিজাব নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতে থাকে। এসময় আসমা আখরাস দোকানের মধ্যে প্রবেশ করলে খ্রিষ্টান মহিলা টি তাকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকে, ‘যদি তুমি আমার সাথে যুদ্ধ করতে চাই তবে তা এখনই শুরু কর।’

আখরাস পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য পুলিশে ফোন করার কিছুক্ষণের মধ্যেই খ্রিষ্টান নারীটি ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

তিনি বলেন, ‘অন্য লোকজনেরা আমার নিজের পরিচয় ছিনতাই করে নিয়ে যেতে চাইছে। তারা আমাকে আমার মত করে জীবন যাপন করতে দিতে চায় না।’

নাইমা জাহির
এমন অনেক সময় গিয়েছে যখন নাইমা জাহির রাস্তা ধরে হেটে যাচ্ছেন আর কোনো একজন আগন্তুক তার দিকে তাকিয়ে খুবই উষ্ণ ভাবে হাসি দিচ্ছেন আর এমন দৃশ্য দেখে তিনি দ্বিধার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন।

তিনি আশ্চর্য হয়ে বলেন, ‘আমি কি এই ব্যক্তিকে চিনি?’

এর উত্তর হচ্ছে না, তিনি হাসি দেয়া ব্যক্তিটিকে চিনেন না। আগন্তুক ব্যক্তিটি কয়েক কদম এগিয়ে এসে জাহিরের উদ্দেশ্য বলে উঠেন, ‘এখানে আপনাকে স্বাগতম।’

শিকাগোর একটি রাজপথে আসমা জাহির তার হিজাব পরিধান নিয়ে ঠিক এমনই প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হয়েছিলেন। হয়তবা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিম নিষেধাজ্ঞার ফলে শিকাগোর ওই ব্যক্তিটি আসমার হিজাব পরিধানের সিদ্ধান্ত কে সমর্থন করে এরকম আচরণ করেছিলেন।

আসমা জাহির আগন্তুক ব্যক্তিটির ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বলেন, ‘আমি এধরনের আচরণের তারিফ করি।’
তিনি বলেন, ‘আমি এখানেই বেড়ে উঠেছি এবং এখানে আমি স্বাগত সূচক পরিবেশ পেয়েছি।’

নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রোগ বিদ্যার উপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেয়া আসমা জাহির বয়স্ক এবং ক্যান্সার রোগীদের নিয়ে কাজ করতে চান। তিনি তার হিজাব পরিধান সম্পর্কে বলেন, ‘এর মাধ্যমেই আমি সৃষ্টিকর্তার প্রতি আমার ভালোবাসা প্রদর্শন করতে পারি।’

তিনি আরো বলেন, ‘যারা আমাকে দেখে অথবা যে দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে তারা তারা আমার দিকে তাকায় এর ফলে মাঝে মধ্যে আমার মনে হতে থাকে যে হিজাবের মাধ্যমে আমি আমার যৌনতার সুরক্ষা দিচ্ছি।’

হান্নাহ আল আমিন
১৯৮০ দশকে শিকাগোর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় আল আমি অন্য শিক্ষার্থীদের মত নিজের মা কে তার বিদ্যালয়ে তার সাথে যেতে বলতেন সুতরাং তার মা যখন হিজাব পরিধান করে বিদ্যালয়ে তার সাথে যাওয়া শুরু করেছিলেন তখন আল আমি এ বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখতেন না।

তিনি তার মায়ের কাছে জানতে চাইতেন, ‘কেন তুমি হিজাব পরিধান করতে চাও?’

৩৯ বছর বয়সী আল আমিন স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত তিনি হিজাব কে তার ব্যক্তিগত পছন্দ হিসেবে আমার নিকট ব্যাখ্যা করেছিলেন এবং এটাকে আমি সম্মান করি। সেসময় আমার নিকট মনে হত হিজাব কুল( cool) কিছু নয় কিন্তু একসময় আমি বুঝতে পারি যে কুল( cool) এর ভিন্ন সংজ্ঞা রয়েছে।’

আল আমিনের নিকট হিজাব একটি ধর্মীয় বিবৃতির মত, ‘এটি অবশ্যই আমার প্রাধান্যের সাথে জড়িত এবং প্রথমেই আমি আমার বিশ্বাসের প্রাধান্য দিব।’ তার মতে হিজাব পরিধানের প্রতিক্রিয়া সবসময় ইতিবাচক এবং অনেক সময় অনেকে মন্তব্য করেন যে, ‘এটি সত্যিই অনেক সুন্দর স্কার্ফ।’

স্থানীয় একটি হাসপাতালে পুষ্টিবিদ হিসেবে কর্মরত থাকার সময় একজন খ্রিষ্টান ব্যক্তি তার নিকট এসে জানতে চাইল- ‘তুমি কেন এখানে?’ আল আমিন পাল্টা প্রশ্ন করে জানতে চাইলেন সে কি বোঝাতে চাইছে? উত্তরে লোকটি বলল, ‘দেখ এটি একটি খ্রিষ্টান ক্যাথলিক হাসপাতাল। সুতরাং তুমি এখানে কি করছ?’

আল আমি তখন হাসপাতালের একজন প্রতিনিধির কাছে জানতে চাইলেন তারা সবাই ক্যাথলিক খ্রিষ্টান কিনা? উত্তরে সে জানালো- না।

তখন লোকটি বলল- ‘ঠিক আছে, তবে এখানে এমন লোকের জায়গা নেই যে অন্যদের মাথা কেটে ফেলতে অভ্যস্ত।’

আল আমিন লোকটি কে জানালেন যে, তিনি কখনো কারো মাথা কাটেন নি এবং এমন অনেক ক্যাথলিক খ্রিষ্টান রয়েছে যারা অনেক ঘৃণ্য কাজ করে। কিন্তু লোকটি তা অস্বীকার করল। আল আমি তখন তার নিকট জানতে চাইলেন, ‘সুতরাং কারাগারে কোনো ক্যাথলিক খ্রিষ্টান নেই?’

লোকটি তার অসুস্থ মায়ের জন্য অপেক্ষারত থাকার সময় আল আমিনের সাথে বাক বিতণ্ডায় জড়িত হওয়ার কয়েক মিনিট পর তা মা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং আল আমিন কে জড়িয়ে ধরে কারণ আল আমি লোকটির মায়ের পুষ্টিবিদ ছিলেন।

এ দৃশ্য দেখে লোকটি থমকে যায় যে, তার মা আল আমিন কে জড়িয়ে ধরছেন এবং সুস্থ হয়ে উঠার জন্য আল আমিনের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছেন।

আল আমি বলেন, ‘আমি সে সময় চিন্তা করছিলাম লোকটি এ দৃশ্য দেখার জন্য প্রস্তুত ছিল কিনা, কারণ লোকটির মা এমন একটা সময় সেখানে উপস্থিত হয় যা ছিল অনন্য।’ grandhaventribune.com

captcha