IQNA

ইমাম হুসাইনের জন্য ক্রন্দনের ফজিলত

17:08 - September 28, 2017
সংবাদ: 2603941
ইমাম হুসাইন(আ.)-এর মুসিবতের জন্য ক্রন্দন করার দর্শন ও হেতু রয়েছে। এবং শিয়া ও সুন্নিদের সূত্রে ইমাম হুসাইনের জন্য ক্রন্দন ও আজাদারি করার ফজিলত ও সওয়াবের কথাও বর্ণিত হয়েছে।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম হুসাইনের শোকে ক্রন্দনের ফজিলত সম্পর্কে আহমাদ ইবনে হাম্বাল বর্ণনা করেছেন: যারা ইমাম হুসাইন(আ.) ও আহলে বাইতের শোকে ক্রন্দন করবে তাদের পুরস্কার হচ্ছে বেহেশত।

শিয়াদের হাদিসেও ইমাম হুসাইনের শোকে ক্রন্দনের ফজিলত সম্পর্কে বলা হয়েছে: কেউ যদি ইমাম হুসাইনের শোকে বিন্দুমাত্র ক্রন্দন করে তার সওয়াব হচ্ছে বেহেশত।

ইমাম রেজা(আ.) বলেছেন, হে শাবিবের পুত্র যদি কারও জন্য কাঁদতে চাও তাহলে ইমাম হুসাইনের(আ.) জন্য ক্রন্দন কর। তিনি আরও বলেন কেননা এর মাধ্যমে তোমার সকল গোনাহ মাফ হয়ে যাবে।

পবিত্র কুরআনের সূরা মারিয়ামে বর্ণিত হয়েছে:
«أُوْلَئِکَ الَّذِینَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَیْهِم مِّنَ النَّبِیِّینَ مِن ذُرِّیَّةِ آدَمَ وَمِمَّنْ حَمَلْنَا مَعَ نُوحٍ وَمِن ذُرِّیَّةِ إِبْرَاهِیمَ وَإِسْرَائِیلَ وَمِمَّنْ هَدَیْنَا وَاجْتَبَیْنَا إِذَا تُتْلَى عَلَیْهِمْ آیَاتُ الرَّحْمَن خَرُّوا سُجَّدًا وَبُکِیًّا؛

তারা হল সে সকল লোক যাদের আল্লাহ নিয়ামত প্রদান করেছেন আদমের বংশধর থেকে, যারা নবী ছিল এবং তাদের মধ্য হতে যাদের আমরা নূহের সাথে তরণীতে আরোহণ করিয়েছিলাম; এবং ইবরাহীম ও ইসরাইলের বংশধরদের হতে এবং তাদের মধ্য হতে যাদের আমরা পথনির্দেশ করেছি ও মনোনীত করেছি। যখন তাদের সম্মুখে অসীম  দয়াময়ের আয়াতসমূহ আবৃত্তি করা হত তখন তারা সিজদাবনত ও ক্রন্দনরত অবস্থায় (মাটিতে) লুটিয়ে পড়ত।

রাসূলের (সা.) আহলে বাইতের (আ.) মাসুম ইমামগণ (আ.) আমাদেরকে সব সময় ইমাম হুসাইনের (আ.) আযাদারী ও শোকানুষ্ঠান পালনের আদেশ দিয়েছেন। কারণ এ আযাদারীর মাধ্যমে আমাদের অন্তর ও বিবেক জাগ্রত হয় এবং আমরা ইসলাম ও কুরআনের পথে অটল থাকি। এমনকি হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে, কিয়ামতের দিন সমস্ত চক্ষু ক্রন্দনরত থাকবে, কিন্তু যে চক্ষু ইমাম হুসাইনের (আ.) জন্য ক্রন্দন করেছে সে চক্ষু ব্যতীত। শাবিস্তান

captcha