বার্তা সংস্থা ইকনা: ১৩ আগস্ট সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমান ও সেদেশের সরকারের মধ্যকার সংঘর্ষের চতুর্থ দিনে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে। এই হামলায় ২৬ জন রোহিঙ্গা মুসলমান নিহত হয়েছে।
এই নিয়ে মিয়ানমারে সম্প্রতি হামলায় মোট ৯০ জন নিহত হয়েছে। মিয়ানমার সরকার ঘোষণা করেছে গত সপ্তাহে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায় ৩০০ রোহিঙ্গা মুসলমানের একটি দল ৯ জন পুলিশ অফিসারকে হত্যা করেছে।
মানবাধিকার সংগঠনের সদস্য 'ম্যাথু স্মিথ' জানিয়েছেন: এটি অনেক ভয়ঙ্কর একটি পদক্ষেপ। মিয়ানমার সরকার পাশবিক দমন শুরু করেছে। আমরা এই অবৈধ হত্যাকাণ্ডের ডকুমেন্টারি নির্মাণ করছি।
বর্তমানে মিয়ানমারের সৈন্যবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের গ্রামসমূহ প্রবেশ করছে এবং সকল যুবক ও প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের সাথে সন্দেহভাজন আচরণ করছে।
১৯৮২ সালে 'বার্মার নাগরিকত্ব আইন' পাশ হাওয়ার পর রোহিঙ্গা মুসলমানেরা সেদেশের নাগরিকত্ব থেকে বাদ পরে। ঐ সময় থেকে তাদের সাথে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসীদের মত আচরণ করছে। রোহিঙ্গা মুসলমানেরা সেদেশের নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার জন্য প্রমাণ করতে হবে যে, ১৮৩২ সালের পূর্বে তাদের পূর্ব পুরুষেরা মিয়ানমারে বসবাস করত। কারণ ১৮৩২ সালে বার্মা ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীন হয়েছে।
iqna